ব্লুমবার্গের সূত্রে সিএনএন জানিয়েছে, ২০২১ সালের জুন মাসের পর ইয়াঙ হুইয়ানের সম্পদ কমেছে ৮৪ শতাংশ। অর্থমূল্যে তা ২৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৮৬০ কোটি ডলার। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তাঁর কোম্পানির অবস্থা বেশ খারাপ। চীনের আবাসিক খাতের আরেক কোম্পানি এভারগ্র্যান্ডের পর কান্ট্রি গার্ডেনও খেলাপি হলো বলে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ইয়াঙ হুইয়ানের বর্তমান সম্পদ ৫৫০ কোটি ডলার। গত দুই বছরে তাঁর মতো আর কোনো ধনীর সম্পদ এতটা কমেনি। কেবল মঙ্গলবারেই তাঁর সম্পদ কমেছে ৪৯ কোটি ডলারের। ফলে ব্লুমবার্গের ধনীদের তালিকায় তিনি ৪৭৫তম স্থানে নেমে গেছেন।
কান্ট্রি গার্ডেন সম্প্রতি দুটি মার্কিন ডলারভিত্তিক বন্ডের সুদের কিস্তি পরিশোধ করতে পারেনি। ফলে বিনিয়োগকারীদের মনে শঙ্কা, চীনের আবাসন খাতে এভারগ্র্যান্ডের পর আরেকটি বড় ধস নামতে যাচ্ছে। ফলে হংকংয়ের শেয়ারবাজারে কান্ট্রি গার্ডেনের শেয়ারের দাম ১৬ শতাংশ কমেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পেপার ডট সিএনের সংবাদে বলা হয়েছে, কান্ট্রি গার্ডেন সাময়িকভাবে তারল্যসংকটে ভুগছে। তাদের বেচাকেনা কমে যাওয়ার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই ঋণসংকট মোকাবিলায় তারা মরিয়া হয়ে বিনিয়োগের সন্ধান করছে; সেই সঙ্গে ঋণদাতাদের স্বার্থ রক্ষায়ও তারা সচেষ্ট।
সুদের কিস্তি নির্ধারিত দিনে দিতে না পারার কারণে কান্ট্রি গার্ডেনকে ৩০ দিনের বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কিস্তি দিতে না পারলে তারা খেলাপি হয়ে যাবে।
আবাসন খাত চীনের অর্থনীতির জন্য এতটা গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে দেশটির জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদনের ৩০ শতাংশই আসে এই খাত থেকে। কিন্তু দেশটির অনেক আবাসন কোম্পানি ঋণের বোঝার তৈরি করে ফেলেছে। ২০২১ সালে এভারগ্র্যান্ডও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে খেলাপি হয়ে যায়। এরপর আরও অনেক আবাসন কোম্পানি খেলাপি হয়; এবার হতে পারে কান্ট্রি গার্ডেন।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০০৭ সালে হংকংয়ের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কান্ট্রি গার্ডেন। ইয়াঙ হুইয়ানের পিতা ইয়াঙ গুওকিয়াঙ এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।