বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। এর আগে গত ১৬ জুলাই ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় বিশেষ এ সমাবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জানা যায়, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটি ও জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ সভায় বঙ্গবন্ধুকে মরণোত্তর সম্মানসূচক ডিগ্রি দেয়ার এ প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলেন জাতীয় কমিটির সদস্য ও ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।
অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘২০১৯ সালের ২০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ জাতীয় কমিটি ও জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ সভায় আমি বঙ্গবন্ধুকে মরণোত্তর সম্মানসূচক পিএইচডি দেয়ার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলাম। একই বছর ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায়ও আমি বঙ্গবন্ধুকে জন্মশতবর্ষে মরণোত্তর সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানের প্রস্তাব পুনরায় উত্থাপন করি। সেই প্রস্তাব ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও ২৮ জানুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন হয়।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জরিমানা করা হলো, তারপর জরিমানা না দেয়ায় ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যায়। ১৯৭২ সালে অধ্যাপক ড. মোজাফফর আহমদ চৌধুরী ঢাবির উপাচার্য ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সেই বহিষ্কার আদেশটি ছিঁড়ে ফেলেন। কিন্তু বহিষ্কার আদেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে তখন প্রত্যাহার করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সময় বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বরখেলাপ করে সে সময় বঙ্গবন্ধুর ওপর যে অন্যায় আচরণ করা হয়েছিল তার মাধ্যমে আমাদের মনে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা কখনই মুছে যায়নি। তাই জন্মশতবর্ষে মরণোত্তর সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সম্মানিত করার জন্যই আমি এ প্রস্তাব দিয়েছিলাম। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে, এটি অত্যন্ত আনন্দের। বঙ্গবন্ধুকে সম্মানিত করার জন্য বিশেষ এ দিনটি বাঙালি জাতির জন্যও নিঃসন্দেহে গৌরবের।’
অর্থসংবাদ/এমআই