এর আগে সোমবার (১৪ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে ৩টায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী ইউনিয়নের গদাবাগ এলাকায় হাজী আবুল হাসনাতের মালিকানাধীন স্বাদ গ্লাস অ্যান্ড পলিমার কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে বসত ঘরে ঘুমিয়ে থাকা জেসমিন আক্তার (৩০) ও তার মেয়ে মিনা (২২) ও তার শিশুসন্তান তাইয়েবার (২) মৃত্যু হয়। নিহত জেসমিন সৌদিপ্রবাসী মিলন মিয়ার স্ত্রী। মিনার স্বামীর নাম সোহাগ মিয়া।
এছাড়া পাশের বাড়ির বেশ কয়েকজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা প্রায় এক ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এর আগেই স্থানীয়ভাবে লোহার হাতুড়ি দিয়ে দেয়াল ভেঙে আহত ও নিহত কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী এজিএম (হেডকোয়ার্টার্স) মো. সামসুজ্জামান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রথমে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এবং এরপর সদরঘাট ও হেডকোয়ার্টার্সের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ বলেন, কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ ঘটনায় শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল বিন করিম ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। পরিদর্শন শেষে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে জেলা প্রশাসক।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনজন দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন- মোহাম্মদ সাঈদ (২৫), সোহাগ (২২) ও রোজা মনি (৫)। তাদের মধ্যে সোহাগ ও মনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
অর্থসংবাদ/এমআই