মঙ্গলবার সকালে জাতীয় শোক দিবসে ধানমন্ডি ৩২ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে ৫০ বছর অর্জন ও উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর এ হত্যাকাণ্ড সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সম্ভাবনার ওপর চরম আঘাত। সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে বঙ্গমাতা এবং পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়নি, সেদিন তারা হত্যা করেছিল বাংলাদেশের মহান গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধকে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল তাদের টার্গেট। আমাদের রণধ্বনি জয় বাংলা, স্বাধীনতার আদর্শ ছিল তাদের টার্গেট। সেটা পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড এবং সবশেষ ২১ আগস্টে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে যে হামলা পরিচালিত হয়-সবই আসলে একই সূত্রে গাথা, একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আজও ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পায়নি। বঙ্গবন্ধুকে যদি না হারাতাম তাহলে এতদিনে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত হতো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু আমাদের যে রাজনৈতিক স্বাধীনতা, যে উত্তরাধিকার দিয়েছেন এই জনপদে কোনদিনও তার মৃত্যু হবে না। এরপর বঙ্গবন্ধুর সৌভাগ্যক্রমে যে অসমাপ্ত কাজ, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টির নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অসীম সাহসী কাণ্ডারী হিসেবে আমাদের দেশকে উন্নয়নে-অর্জনে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে আমাদের শত্রু, স্বাধীনতার শত্রুরা, মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা। এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। চক্রান্ত চলছে। এখনও এ বাংলার মাটিতে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি আমাদের অর্জন-উন্নয়নের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করছে। কাজেই আজকে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের আমাদের সবাইকে এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী, স্বাধীনতার মূল্যবোধবিরোধী যে শক্তি এরা আমাদের স্বাধীনতার সপক্ষের সবার অভিন্ন শত্রু।