গত এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে শুরু হওয়া লড়াই রাজধানী খার্তুমকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দারফুরে জাতিগতভাবে হামলাসহ পুরো সুদানকে দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধে নিমজ্জন ও অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকিতে ফেলেছে।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে গতকাল মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বলেছে, মাঠে ফসল রোপণের সময় ফুরিয়ে আসছে। চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
যুদ্ধের মাঝে খার্তুম, দারফুর ও কর্ডোফান অঞ্চলে লাখ লাখ মানুষ মানবেতর অবস্থার মাঝে পড়ে যায়। বিদ্যুৎ, পানি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিঘ্নের পাশাপাশি বাসিন্দারা ব্যাপক লুটপাটের মুখোমুখি হচ্ছেন।
এ সময়ে এক লাখ ১৭ হাজার ৪৪৯ জন সুদান থেকে প্রতিবেশী দেশগুলিতে পাড়ি জমায়। বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ৩৪ লাখ ৩৩ হাজার ২৫ জন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয় সংস্থা আইওএম।
জাতিসংঘের হিসাবে সংঘাতে চার হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। সংস্থার মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রোসেল জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নিহতদের অনেকের দেহাবশেষ সংগ্রহ, শনাক্ত বা কবর দেয়া যায়নি।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের কর্মকর্তা লায়লা বেকার বলেছেন, যৌন নির্যাতনের খবব ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
জাতীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ আগস্ট থেকে দেশের বড় অংশ বিদ্যুতের ব্ল্যাকআউটে ভুগছে। এর ফলে মোবাইল নেটওয়ার্ক অফলাইনে চলে গেছে।
বর্তমান যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করছে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র, যা অনেকখানিই স্থবির অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আমলাতান্ত্রিক বাধার কারণে ত্রাণ সরবারহে জটিলতাসহ নিরাপত্তাহীনতা ও লুটপাটের শিকার হচ্ছে সংস্থাগুলো।
অর্থসংবাদ/এমআই