মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণগুলোর মধ্যে সবজির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে ৩৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া শস্য ও ডালের দাম ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা ভোক্তা বাজেটকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে। শহুরে ভোক্তারা যেখানে ১২ দশমিক ৩ শতাংশেরও বেশি খাদ্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি দেখেছেন, সেখানে গ্রামীণ ভোক্তারা ১১ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি দেখেছেন। ভোক্তা মূল্য সূচক জুনের তুলনায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে এবং খাদ্যের দামগুলো মাসিক ভিত্তিতে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।
জুলাইয়ের মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। ভারতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৬ শতাংশ সহনশীল সীমার নিচে থাকা মূল্যস্ফীতি চার মাসের ধারাবাহিকতা ভেঙেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গড় মূল্যস্ফীতির ৬ দশমিক ২ শতাংশের প্রক্ষেপণকে চ্যালেঞ্জ করেছে। আগামীতে মুদ্রানীতিতে সামঞ্জস্যের প্রয়োজন হতে পারে।
চলতি মাসে টমেটোর দামের বৃদ্ধি আগস্টে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কমাতে সহায়তা করতে পারে। ডাল ও মসলার মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২১ দশমিক ৬ ও দুধ ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। কম বৃষ্টির পূর্বাভাস ও ফসল বপনের ধীরগতি পরিস্থিতি আরো প্রভাবিত করতে পারে।
পাইকারি পর্যায়ে প্রাথমিক খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে, যা প্রায় এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ, জুলাইয়ে সবজির দাম জুনের তুলনায় ৮১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় ৬২ দশমিক ১ শতাংশ বেশি হয়েছে। দুধ, গম ও খাদ্যশস্যের দাম বছরে ৮ শতাংশের ওপরে বেড়েছে, অন্যদিকে ডাল ও ধানের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশেরও বেশি।
খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে আলু ও ফলের দাম গত জুলাইয়ে কিছুটা কমেছে, যা যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৪ ও ৮ দশমিক ৯ শতাংশ । তবে জুনের তুলনায় আলুর দাম ৮ শতাংশ বেশি ছিল। ২০২৩ সালের জুন থেকে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ২৮ এবং ২০২২ সালের জুলাই থেকে বেড়েছে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের পাইকারি দাম কমে গেলেও ভোক্তা মূল্য পর্যায়ে তেমন কোনো স্বস্তি পাওয়া যায়নি। ভোক্তাদের জন্য একমাত্র বড় স্বস্তি ছিল ভোজ্য তেল থেকে, যার দাম জুলাইয়ে ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই