গবেষণা প্রবন্ধ জালিয়াতির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদের অপসারণের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) অপসারণ আদেশের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষকের রিটে জারি করা রুল মঞ্জুর করে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
আদালতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও তানজীব উল আলম। শিক্ষকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহদীন মালিক ও এম মঞ্জুর আলম। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী এম মঞ্জুর আলম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়।
পরে অপসারণ আদেশ পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষক নাসির উদ্দিন। ২০১৯ সালের আগস্টে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেই রুলের চূড়ান্ত রায় বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়।
আদালতের রায় প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.আইনুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন উপাচার্য নাসির স্যারকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে অপসারণ করেছিলো তা আদালত প্রমান করে দিলো। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিৎ হবে স্যারকে সসম্মানে স্বপদে বহাল করা। এবং অতি দ্রুত ফিরিয়ে এনে তাকে সম্মানিত করা।
ভুক্তভোগী শিক্ষক ড.নাসির উদ্দীন বলেন, আদালত সত্য মিথ্যা যাচাই করেছে। এখন যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যেতে চাই। আমার শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্লাসে ফিরতে চাই। এটাই একমাত্র চাওয়া।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.ইমদাদুল হক বলেন, এবিষয়ে এখনই কিছু বলার নেই। আদালতের নির্দেশ হাতে পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম