একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর হল প্রশাসন থেকে অনাবাসিক এবং আবাসিক পরিচয়পত্র নিতে হয়। এটার জন্য ১০০ টাকা মূল্য পরিশোধ করতে হয়। আবাসিক ছাত্র হল ৫টির মধ্যে মাত্র ২টি হলে ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেওয়া হয় এবং আবাসিক ছাত্রী হল ৩টির মধ্যে ২টি হলে ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। তবে ডিজিটাল হলেও কিউআর কোড স্ক্যান করলে প্রায়সই ভুল তথ্য পাওয়া যায় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
আবাসিক বা অনাবাসিক হলের পরিচয়পত্র বিশেষ কিছু সময় ছাড়া তেমন ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় না। ফলে এতে অন্যান্য পরিচয়পত্রের সেবা অন্তর্ভুক্ত করে মাত্র একটি পরিচয়পত্রকে বহনযোগ্য করার উপযুক্ত দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
এক শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পরিচয়পত্রের জন্য ১০০ টাকা, স্বাস্থ্যসেবা পরিচয়পত্রের জন্য ১০০ টাকা ব্যয় করতে হয়। এ সকল জায়গায় সেবা পেতে পরিচয়পত্র দেখানো আবশ্যক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর কিছুটা আর্থিক সংকটের কারণে এতগুলো কার্ড তৈরি করা সম্ভব হয় না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সেবা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ি। আমাদের এক শিক্ষার্থী পরিচয়েই সব সুবিধা দেওয়া উচিত।
আরেক শিক্ষার্থী আফ্রিদি হাসান বলেন, আমাদের হল কার্ডটি ডিজিটাল। এটির সাথে আনুষাঙ্গিক কার্ডটি সংযুক্ত করে যদি ডিজিটালাইজ করে দেওয়া হয় তাহলে ভোগান্তির নিরসন ঘটবে।
এ বিষয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমার জানা মতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কার্ডে সকল সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। একটি ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে তিনটি সুবিধা দেয়ার কথা ভেবে আইটি ডিরেক্টরের সাথে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান নিয়ে কথা বলবো।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষে ডিজিটাল আইডি কার্ড একটি প্রয়াস এবং এটি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে এটা করতে হবে। দেখি এ বিষয় কতটুকু কি করা যায়।
অর্থসংবাদ/এসএ