শনিবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে "এসো বনোফুলেরা, হাতে হাত মিলিয়ে শেকড়ের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নবদিগন্তের গান গায়" শীর্ষক স্লোগান নিয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সাগর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাসুদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাওলী মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। দেশের বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চল থেকে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসে। তারা অনেক সংগ্রাম করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে আমি সকল আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মঙ্গল কামনা করি। আমি চাই তারা যেন সার্বিকভাবে এগিয়ে যায়। চাকরি ক্ষেত্রগুলোতে তাদের জায়গা নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি সাগর ত্রিপুরা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় শতাধিক রানিং আদিবাসী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। দেশে ৫৪টিরও বেশি আদিবাসী গোষ্ঠী আছে। দূর দূরান্ত থেকে আমরা পড়তে আসি। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া আমাদের জন্য কঠিন হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য আমরা মাঝে মাঝে আন্দোলন করে থাকি। আমাদের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য রাষ্ট্র থেকে প্রয়োজনীয় সুবিধাদি নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে আমরা যেন স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারি এটাই আমাদের সকল শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে বাংলার পাশাপাশি আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতির গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এমআই