রবিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতি, সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলা ও প্রতিরোধ, আমাদের দায়িত্ব ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, দেশে এ বছর এক লাখের মতো মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এডিস মশার রূপান্তর ঘটেছে। সাধারণ মানুষের প্রতি পরামর্শ থাকবে, জ্বর হলেই তারা যেন দ্রুত ডেঙ্গু টেস্ট করান। কারণ যত দ্রুত এই রোগ শনাক্ত হয়, এটি থেকে মুক্তি পাওয়াও তত সহজ হয়।
গর্ভবতী ও শিশুদের জন্য বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া বেশির ভাগই নারী, আবার তাদের একটি বড় অংশ অন্তঃসত্ত্বা। তাই গর্ভবতী ও শিশুদের জন্য বাড়তি সতর্কতার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না, এমনটা ঠিক নয়। ডেঙ্গুর চিকিৎসা হলো লক্ষণ নির্ভর। জ্বরের সঙ্গে যে রোগ হয়, তার চিকিৎসা দিতে হবে। চিকিৎসক যদি মনে করেন, অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া প্রয়োজন তবে রোগীকে তাই দেওয়া উচিত। আবার ডেঙ্গু হলেই প্লাটিলেট দিতে হবে এমনটাও নয়। আগে রোগীর অবস্থা কেমন তা জানতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।