নারায়ণগঞ্জের বালুরমাঠ এলাকায় ব্লু পিয়ার মিলনায়তনে সোসাইটি অব সার্জন অব বাংলাদেশের (এসওএসবি) নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল এ আয়োজন করে।
অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এর জন্য বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রাসী বাজারজাতকরণ ও যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি প্রধানভাবে দায়ী।
তিনি বলেন, অ্যান্টিবোয়োটিক যে শুধু সার্জনরা বা ফিজিসিয়ানরা ব্যবহার করছেন, তা না। এই অ্যান্টিবায়োটিক এখন কৃষিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। পোলট্রি শিল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি মশার লার্ভা মারতেও কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হচ্ছে। এটিকে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের দাবি হলো ওয়ান হেলথ ওয়ান হার্ট।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, খোলা বাজারে যেভাবে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হচ্ছে তা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স আইন করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সেই আইন বাস্তবায়ন করা যায়নি।
বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে তিনি আরও বলেন, সেফালোস্পোরিনের পরে অ্যান্টিবায়োটিকের মৌলিক কোনো উপাদান আবিষ্কার হয়নি। এই সেফালোস্পোরিনের গঠন পরিবর্তন করে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য বাজারে ছাড়ছে। তাদের আগ্রাসী বাজারজাতকরণ অভ্যাসের কারণে আমরা সাধারণ জনগণ ও চিকিৎসকরা (সার্জন) এগুলো ব্যবহার করছি। আমরা এগুলো ব্যবহার করছি জেনে না জেনে, প্রয়োজনে এবং অপ্রোয়জনে।
সেমিনারে ডা. এসএম ইফতেখার উদ্দীন সাগর সঞ্চালনা করেন। সভাপতিত্ব করেন ডা. একেএম শরিফুল আলম ফেরেদৌস। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এফএম মুশিউর রহমান, ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশার, বিএমএ নারায়ণগঞ্জের সভাপতি ডা. চৌধুরী মো. ইকবাল বাহার।