বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায়শই বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ, মারামারিসহ নানা নির্যাতনের শিকার হলে সিসি ক্যামেরার ভূমিকা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার খাতিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্যামেরা স্থাপন, পরিচর্যা, পর্যবেক্ষণসহ তারা সকল বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষদ ভবনের সিসি ক্যামেরা বহুদিন ধরে দেখছি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এটির কোন অগ্রগতি দেখি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেরাব হোসেন বলেন, মারামারি বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার পরেই সবাই অবগত হয়। কিন্তু ঘটনার সুষ্ঠু বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে বিলম্ব দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা নাই। যেগুলো আছে সেগুলো পরিচর্যা করা হয় না। তাই অধিকাংশ সিসি ক্যামেরাগুলো নষ্ট এবং অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এতে আমরা নিরাপত্তার আশঙ্কা করি।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমি আশঙ্কা মনে করি। গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি রাতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আমাদের কাছে কিছু ইনফরমেশন ছিল হামলা বা এরকম কিছু হতে পারে যে কারণে আমি আগেই আইসিটি সেলে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। তখন পূর্বের পরিচালক ছিল। কিন্তু, এর কোনো জবাব পাইনি। এটা একটা এলার্মিং এবং সিকিউরিটি ক্রাইসিস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ক্যাম্পাসের কোন কোন এরিয়া সিসি ক্যামেরার আওতার বাহিরে আছে, নষ্ট হয়ে পড়ে আছে এবং কোথায় লাগানো খুবই জরুরি এসব বিষয়ে উল্লেখ করে প্রশাসন বরাবর নোট পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি দায়িত্ব গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে এটা করেছি।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্নে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন বলেন, সিসি ক্যামেরার টেকনিক্যাল বিষয়গুলির সবকিছু আমাদের জানা থাকে না। তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যপারে পর্যাপ্ত সিসি টিভি ক্যামেরা থাকা উচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ সিসি ক্যামেরার আওতায় অবশ্যই আনা উচিত। মেশিন শোকেজের মত থাকলেই হবে না এটা কার্যকর থাকতে হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই