পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমান এবং পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে কেক কেটে ১৪০০তম বোর্ড সভা উদযাপন করেন। উদযাপন অনুষ্ঠানে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ফাহিম আহমদ ফারুক চৌধুরী, আজিজুর রহমান, মো. আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, আরিফ আহমেদ চৌধুরী, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. শাহ্দীন মালিক ও মোহাম্মদ নওশাদ আলী চৌধুরী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে, পূবালী ব্যাংক বাংলাদেশের কোটি মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড এবং দৈনন্দিন জীবনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ৫০১টি শাখা, ১৭০টি উপ-শাখা, ১৭টি ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো এবং প্রায় নয় হাজার সুদক্ষ নিবেদিত কর্মী নিয়ে পূবালী ব্যাংক গ্রাহকদের সর্বোত্তম ব্যাংকিং সেবাদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমান বলেন, ‘আজকের ১৪০০ তম বোর্ড সভা পূবালী ব্যাংকের যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্তকে চিহ্নিত করে। বছরের পর বছর ধরে, আমরা নৈতিক এবং নিরাপদ ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করেছি এবং এই অর্জন আমাদের সুশাসন এবং প্রবৃদ্ধির নিরলস প্রচেষ্টার প্রতিশ্রæতিকে প্রতিফলিত করে।’ তিনি বলে, ‘আমাদের এই সাফল্যের অন্যতম অংশীদার আমাদের সম্মানিত গ্রাহক। আমরা এই উপলক্ষটি আমাদের গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছি এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি।’
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পূবালী ব্যাংকের উৎকর্ষ এবং উদ্ভাবনের অগ্রগতির নিদর্শন আজকের ১৪০০তম বোর্ড সভা। পূবালী ব্যাংকে একটি স্বচ্ছ নীতির অধীনে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের পরিচালনা পর্ষদ দৃঢ়ভাবে কর্পোরেট সুশাসনে বিশ্বাস করেন এবং আমাদের পরিচালনার নৈতিক সিদ্ধান্তগুলোতে অযাচিত হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলেন। পূবালী ব্যাংকের অভিজ্ঞতা, মূল্যবোধ, নৈতিকতা গ্রাহকদের সর্বোত্তম স্বার্থভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করে।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে পূবালী ব্যাংক বেসরকারীকরণ হয়ে ব্যক্তিখাতে নতুন ব্যবস্থাপনায় মাত্র ১৬ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে, পূবালী ব্যাংকের বর্তমান মূলধন প্রায় ৪৩২২ কোটি টাকা (জুন ২০২৩) এবং মোট আমানত ছিল ৬১৪ কোটি টাকা, যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪,৯৯৪ কোটি টাকা (জুন ২০২৩)। আধুনিক সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রাহকদের আরও ভালোভাবে সেবা দেওয়ার জন্য উদ্ভাবন ও ডিজিটালাইজেশনে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে এবং সরকারের 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' স্বপ্নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকটি তার পরিষেবার ডিজিটালাইজেশনে অগ্রণী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, পাই ব্যাংকিং মোবাইল অ্যাপস এবং বিস্তৃত এটিএম বুথ পরিষেবাসহ বিভিন্ন আধুনিক ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি পূবালী ব্যাংকের সকল শাখায় ইসলামিক ব্যাংকিং সেবাও প্রদান করা হচ্ছে।
১৪০০তম বোর্ড সভায় পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং এই মাইলফলক অর্জনে অক্লান্ত অবদান রাখায় পূবালী ব্যাংকের নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।