তুলাবর্জ্যের রপ্তানি বেড়ে দ্বিগুণ

তুলাবর্জ্যের রপ্তানি বেড়ে দ্বিগুণ
পোশাক শিল্পের উচ্ছিষ্ট অংশকে সাধারণ চোখে আবর্জনা মনে হলেও তা প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলা যায়। একই ব্যাপার তুলার ক্ষেত্রেও। তুলা শিল্পের বর্জ্য অথবা ঝুটকে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী গড়ে তোলা সম্ভব।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তুলাবর্জ্য দিয়ে দেশেই তৈরি হচ্ছে বালিশ, লেপ, সুতা ও শীতের পোশাক। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বাইরেও।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুসারে, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে তুলাবর্জ্য রপ্তানি ৭৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। এ দুই মাসে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার, যা গত অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে তুলাবর্জ্য থেকে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৪১ কোটি ডলারের তুলাবর্জ্য রপ্তানি করেছে। কয়েক বছর আগেও এ থেকে রপ্তানি আয় ছিল ১০ কোটি ডলারেরও কম। চলতি অর্থবছরে তুলাবর্জ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি ডলার। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি এ তুলাবর্জ্য দেশে পুনর্ব্যবহার করা হয়, তবে তুলা আমদানি ব্যাপকভাবে কমে যাবে। সাশ্রয় হতো প্রায় শতকোটি ডলার।

পোশাক শিল্প মালিকরা বলছেন, দেশে প্রায় চার লাখ টন তুলাবর্জ্য হয়। এ বর্জ্য পুনর্ব্যবহার বা রিসাইকেল করা গেলে তা থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানিযোগ্য পোশাক তৈরি করা সম্ভব। চাহিদা থাকায় তুলাবর্জ্য বেশি দামে রপ্তানি হচ্ছে।

জানা গেছে, সুইডেনের শীর্ষ পোশাক বিক্রেতা এইচঅ্যান্ডএম সম্প্রতি পোশাক রপ্তানিকারকদের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাঁচা তুলার চেয়ে বেশি পরিমাণ তুলাবর্জ্য ব্যবহার করতে বলেছে। পোশাক বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো পরিবেশগত ক্ষতি এড়াতে পোশাকের পুনর্ব্যবহার পছন্দ করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন প্রস্তাবিত আইনের কারণে এ জোটে তুলাবর্জ্য থেকে তৈরি পোশাকের ব্যবহার বাড়বে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, বাংলাদেশ থেকে বছরে ৪০ কোটি ডলারের তুলাবর্জ্য রপ্তানি হয়। আমরা এরই মধ্যে তুলাবর্জ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, যাতে পোশাক প্রস্তুতকারকদের জন্য এ ধরনের কাঁচামাল দেশের বাজারে সহজলভ্য হয়। দেশে তুলাবর্জ্য বিক্রির ওপর ভ্যাট মওকুফ করতে হবে, অপচয় কমাতে তুলাবর্জ্য সংগ্রহ কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।

পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের পোশাক ও বস্ত্র কারখানাগুলো প্রায় ৫ লাখ ৭৭ হাজার টন তুলাবর্জ্য উৎপাদন করেছে। এর প্রায় অর্ধেক ছিল ১০০ শতাংশ খাঁটি তুলা। যদি এ তুলাবর্জ্য দেশে পুনর্ব্যবহার করা গেলে তুলা আমদানি কমে যাবে প্রায় ১৫ শতাংশ। সাশ্রয় হবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার।

অর্থসংবাদ/এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ