বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ঋণের বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করবে ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা। দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করবে ২২ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। জুলাই আগস্ট শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ৮ ব্যাংক বিতরণ করেছে ১ হাজার ৫৫৮ কোটি। বেসরকারি খাতের দেশি-বিদেশি ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৩ হাজার ৭৪৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো মোট ঋণের কমপক্ষে ২ শতাংশ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে। এ হিসাবে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষি ঋণের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। সে অনুসারে গত বছরের কৃষি ঋণের মোট লক্ষ্যমাত্রা ৩০ হাজার ৮১১ কোটি থেকে এবার বৃদ্ধি করে চলতি বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্য ঠিক করে।
কৃষি ঋণ বিতরণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক করার কারণে যে সব ব্যাংকের পল্লী অঞ্চলে শাখা নেই তারাও এনজিও লিংকেজ ব্যবহার করে বিতরণ করছে। কৃষক পর্যায়ে ২২ থেকে ২৪ শতাংশ সুদ হারে বিতরণ করছে। আর এনজিওগুলো ব্যাংককে ৯ শতাংশ হারে (স্মার্ট+২) সুদ দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেকই এনজিওর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করছে।
তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি সিটি ব্যাংক এনএ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, এইচএসবিসি ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও উরি ব্যাংক দুই মাসে কোনো কৃষি ঋণ বিতরণ করেনি। আলোচ্য সময়ে দেশের সিটিজেন ব্যাংকও কৃষি বিতরণ শুরু করেনি।
অর্থসংবাদ/এমআই