নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বেড়েছে কর্মসংস্থান

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বেড়েছে কর্মসংস্থান
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ২০২২ সালে কর্মসংস্থান বেড়ে ১ কোটি ৩৭ লাখে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ বেড়েছে কর্মীসংখ্যা। উচ্চ বিনিয়োগ, সরকারি পর্যায়ে ভর্তুকি ও কার্যক্ষমতা বাড়ার কারণে সম্প্রসারণ হয়েছে খাতটি। নবায়নযোগ্য জ্বালানিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সি (আইআরইএনএ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আইআরইএনএর প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থান ছিল ১ কোটি ২৭ লাখ। তবে ২০২২ সালে উল্লেখযোগ্য কর্মসংস্থান বাড়লেও এখন পর্যন্ত তা কয়েকটি দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সবার আগে রয়েছে চীন। বৈশ্বিকভাবে খাতটিতে মোট কর্মসংস্থানের ৪১ শতাংশ চীনের দখলে। তার পরই রয়েছে যথাক্রমে ব্রাজিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।

আইআরইএনএ পরিচালক ফ্রান্সিসকো লা ক্যামেরা বলেছেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ২০২৩ ছিল দুর্দান্ত বছর। জ্বালানি প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে থাকলে আরো লাখ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব।’

সোলার পিভি (ফটোভোলটাইকস) ছিল কর্মসংস্থান তৈরির সবচেয়ে বড় উপখাত। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের মোট কর্মসংস্থানের এক-তৃতীয়াংশই এ উপখাতের, যেখানে মোট কর্মীসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ লাখ। জলবিদ্যুৎ ও জৈবজ্বালানিতে ২০২১ সালে কর্মসংস্থানের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ করে। বায়ুবিদ্যুৎ খাতে কর্মসংস্থান ছিল ১৪ লাখের মতো। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রধান পরিচালক গিলবার্ট হুংবো বলেছেন, ‘‌এ মুহূর্তে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও কিছু নীতিমালা বাস্তবায়ন করা জরুরি। তাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকসই ব্যবসা, দক্ষ জনশক্তি, সক্রিয় বাজার, সামাজিক ও পেশাগত নিরাপত্তা তৈরি হবে। আলোচনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশের অধিকার। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি সম্প্রসারণের জন্য মজুরি, নিরাপত্তা, শ্রমিকদের অধিকার ও সামাজিক বিষয়াবলি নিয়েও মনোযোগ দিতে হবে।’

আইআরইএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‌অনেক দেশই সরবরাহ চেইন স্থানীয়করণের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। দেশীয়ভাবে কর্মসংস্থান তৈরিতে মনোযোগী হয়ে পড়ছে। সে অনুসারে তাদের শিল্পনীতি গ্রহণ করা উচিত। তার পরও দেশগুলোর উচিত স্থানীয়করণের এ প্রচেষ্টার পাশাপাশি বৈশ্বিক সহযোগিতার দিকে গুরুত্ব দেয়া। কেবল এর মাধ্যমেই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিরাপদ জ্বালানির সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। পাশাপাশি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বাড়ানো প্রয়োজন, যেন তরুণ, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সুযোগ তৈরি হয়।

আবুধাবিভিত্তিক সংস্থা বিশ্ব জ্বালানি ট্রানজিশন আউটলুকে দাবি করা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বার্ষিক বিদ্যুৎ সক্ষমতা ১০০০ গিগাওয়াটে পৌঁছাতে হবে। এটাই প্যারিস চুক্তিতে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা। গত বছর বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ সক্ষমতা ৩০০ গিগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য এখনো অনেক পথ বাকি।

দেশগুলোর মধ্যে এখনো বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা ২০৫০ সালের মধ্যেই সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে কাজ করছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যথাক্রমে ২০৬০ ও ২০৫০ সালের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছার পরিকল্পনা করেছে। বাকি দেশগুলোকেও এ অগ্রযাত্রায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।

অর্থসংবাদ/এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া