বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, আগস্টে মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৮ কোটি ৮৬ লাখে পৌঁছেছে, যা এক মাস আগে ছিল ১৮ কোটি ৭৪ লাখ। এছাড়া ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৬৯ লাখ ৮৯ হাজার।
তবে, জুলাইয়ে অপারেটররা প্রায় ১৪ লাখ গ্রাহক পেয়েছেন, যা এক বছরের মধ্যে কোনো মাসে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি।
এদিকে রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক ও গ্রামীণফোনের গ্রাহক বাড়লেও রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটকের গ্রাহক কমেছে। বার্ষিক ভিত্তিতে রবির গ্রাহক বেড়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
দেশের তৃতীয় বৃহত্তম অপারেটর বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা আগস্টে প্রায় ৪ দশমিক ২ লাখ বৃদ্ধি পেয়ে মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখে। বার্ষিক ভিত্তিতে আগস্টে বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ১০ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে।
গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা আগস্টে আড়াই লাখ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৮ কোটি ২১ লাখে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু, বার্ষিক ভিত্তিতে গ্রামীণফোনের গ্রাহক কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ। কারণ সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে যে প্রভাব পড়েছিল তা থেকে এখনো পুরোপুরি উঠতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
গত বছরের ২৯ জুন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা গ্রামীণফোনের 'কল ড্রপ রেট কমানোসহ সেবার মান উন্নত না হওয়া পর্যন্ত' সিম বিক্রি নিষিদ্ধ করে। পরে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞায় গ্রামীণফোন হারিয়েছে প্রায় ৫০ লাখ গ্রাহক।
এদিকে, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটক আগস্টে প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক হারিয়েছে, যার ফলে মোট গ্রাহক সংখ্যা ৬৪ লাখ ৫০ হাজারে নেমে এসেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই