ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ এর অন্তর্ভুক্ত ‘শিক্ষার মান উন্নয়নে শুদ্ধাচার চর্চা’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন বিজ্ঞান ভবনের ২০৩ নম্বর কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) ও ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা চন্দন কুমার দাস। এতে সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য ও এপিএ টিমের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। রিসোর্স পার্সন হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শিপন মিয়া উপস্থিত ছিলেন। উক্ত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান।
এছাড়াও বিজ্ঞান অনুষদ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক এবং প্রভাষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্বায়ন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সমাজ বিনির্মাণের কারিগর হিসেবে শিক্ষকগণ সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। একজন শিক্ষককে নিজের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে। আমরা যদি প্রত্যেকেই নিজেরা নিজেদেরকে চর্চা করি, দায়িত্ব সম্পর্কে আরও যত্নশীল হই তাহলে শুদ্ধাচার চর্চায় এগিয়ে যাব এবং জাতি ও দেশ গঠনে ভুমিকা রাখতে পারবো।
এসময় অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এখন আমাদের মূল লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণামুখী করা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও খ্যাতি নির্ভর করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, যার যা আচরণ তা আমরা শুদ্ধভাবে করার জন্য আমাদের ভেতরের আমিকে পরিবর্তন করতে হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এই পরিবর্তন ঘটানোর উপর নির্ভর করবে এই প্রোগ্রামের সফলতা। এখান থেকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ রূপায়ণের কারিগর হতে চাই। শিক্ষকরা যদি যথাযথভাবে প্রস্ততি নিয়ে মানসম্মত লেকচার প্রদান করেন তাহলে একদিকে যেমন শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে, শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠনের মানের ক্ষেত্রে তাঁদের একটা ভূমিকা থাকবে, পাশাপাশি নিজেদেরকে আরও যোগ্য করে গড়ে তোলা যাবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম