বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) রাজধানীতে আয়োজিত এ সেমিনারে- অবৈধ পথে রেমিটেন্স, বেটিং, জুয়া, ফোরেক্স, ক্রিপ্টো কারেন্সির মতো অননুমোদিত বৈদেশিক লেনদেন প্রতিরোধে পরিচালিত নতুন ‘রিস্ক-বেজড ওভারসাইট ফ্রেমওয়ার্ক’ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ সেমিনারে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ, এজেন্ট, ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট এবং মার্চেন্টদের মনিটরিং কার্যক্রম বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। বিকাশ-এর এএমএল-সিএফটি বিভাগের ঢাকাসহ সারা দেশের আঞ্চলিক পর্যায়ের কর্মকর্তারা এতে অংশগ্রহণ করেন।
এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিকাশ-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর, চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার ও চিফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অবঃ), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ, চিফ লিগ্যাল অফিসার ও কোম্পানি সেক্রেটারি এম মাজেদুল ইসলাম, চিফ রিস্ক অফিসার আহম্মেদ আশিক হোসেন, চিফ কমিউনিকেশন্স অফিসার মাহফুজ সাদিক সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সেমিনার চলাকালে ‘এএমএল ৩৬০’ কমপ্লায়েন্স টুলে ‘অটোমেটেড কন্ট্রোল রিপোর্ট মডিউল’ উদ্বোধন করেন বিকাশ-এর চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অবঃ)। এছাড়া, সেমিনারে অংশ নিয়ে ৪০ ঘণ্টার ফান্ডামেন্টাল ও অ্যাডভান্সড মাই এসকিউএল ট্রেনিং সম্পন্ন করা অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কর্মকর্তাদের সবাইকে সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়।
রিপোর্টিং অর্গানাইজেশন হিসেবে বিকাশ দেশের একমাত্র এমএফএস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যারা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কমপ্লায়েন্স টিম নিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের পাশাপাশি ঝুঁকিমুক্ত লেনদেন নিশ্চিতে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
উল্লেখ্য, বিকাশ বিশেষ কাস্টমাইজড কমপ্লায়েন্স টুল ‘এএমএল ৩৬০ ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সল্যুশন’ ও স্ক্রিনিং ইনটেলিজেন্স সিস্টেম (এসআইএস) - এর মাধ্যমে যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক লেনদেন সনাক্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে এমএফএস খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।