ইবিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত

ইবিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৭৫তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস-২০২৩ পালন করা হয়েছে।


রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‍্যালিটি মীর মোশাররফ হোসেন ভবন থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালে এসে সমবেত হয়।


র‍্যালি শেষে মানবতার মুক্তি ও শান্তির প্রতীক হিসেবে সাদা পায়রা উড়ানো হয় এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


আলোচনা সভায় সহকারী অধ্যাপক সাহিদা আখতারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ সহ আইন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এসময় সাহিদা আখতার বলেন, মানবাধিকার শব্দটিকে যেন পরাশক্তির দেশগুলো বা কুচক্রী মহলগুলো বিশেষ চাহিদা অর্জনে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে। এই শব্দটি যেন পৃথিবীর সকল জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সমানভাবে ব্যবহার করা হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

এসময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আজকে আমরা যখন মানবাধিকারের সন্ধান করছি, জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একেক দেশে একেক রকম সংজ্ঞা। আমাদের দেশে যখন রাতের অন্ধকারে বাসে, ট্রেনে আগুন দেওয়া হচ্ছে, তখনই মানবাধিকারের প্রশ্ন আসছে। আজকে যখন দেখি গাজায় অল্প বয়সে মানুষকে গুলি করে মারা হচ্ছে, তখন সে বিষয়টি মানবিকতারের বিষয়ে আসছে না। যারা বিশ্বকে শাসন করতে চাচ্ছেন বা শাসন করছেন, তাদের প্রতি আমার আহ্বান মানবাধিকারের সংজ্ঞা এবং প্রয়োগের বিষয়টি যেন জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রয়োগ হয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধানে মানবাধিকারের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে আপামর জনতার জন্য মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করে ছিলেন।

এসময় প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের বক্তব্যে বলেন, গাঁজার মতো রোহিঙ্গাদের বাস্তুহারা করে বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেওয়াটাই তাদের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ। বাংলাদেশে মানবাধিকারের জায়গাটা খুব বড় শক্ত তাও না কিন্তু নড়বড়ে করে ফেলছে পরাশক্তিগুলো। বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে মানবাধিকার কমিশন গঠন হলেও বিশ্বের সূচকে বি গ্রেডে ( ভালো না, খারাপ না) অবস্থান করে। এর পেছনে আমরা যতটা দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী বিশ্বের পরাশক্তিগুলো।

এসময় তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে লক্ষ লক্ষ শহিদ ও মা-বোনদের ইজ্জত হারানোর পর মানবাধিকার নামক জাতিসংঘ যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা দেয়। এই হচ্ছে বিশ্বের পরাশক্তির চালিকাশক্তি।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা
এসএসসির আগেই শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষা
নিয়োগ দেবে ইসলামী ব্যাংক, ৩৬ বছরেও আবেদনের সুযোগ
প্রাথমিকে বাৎসরিক ছুটি বাড়িয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ
এইচএসসি পাসে চাকরি দেবে আগোরা
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষা হবে আনন্দময়
আজ ৪৬তম বিসিএসের আবেদনের শেষ সময়
থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাবিতে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
আইআইএবি’র এজিএমে বোর্ড অব গভর্নরসের ১০ সদস্য নির্বাচিত
বসুন্ধরা গ্রুপে চাকরি, আবেদন শেষ ৫ জানুয়ারি