দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০২২- ২৩ করবর্ষে আবারো টেলিযোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে গ্রামীণফোন। ২০১৫-১৬ করবর্ষ থেকে একটানা আট বার করদাতা হিসেবে সংশ্লিষ্ট খাতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে গ্রামীণফোন। যা দেশ ও জাতির কল্যাণ ও উন্নয়নে স্মার্ট নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট সামাজিক দায়িত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রতিফলন।
বাংলাদেশে যাত্রার শুরু থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণফোন দেশের জাতীয় কোষাগারে কর, শুল্ক, মাশুল, ফি, লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দ ফি’সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোট ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে, যা প্রতিষ্ঠানের মোট আয়ের ৬০ শতাংশ।
গ্রামীণফোনের অ্যাক্টিং চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ও চিফ রিস্ক অফিসার মো. আরিফ উদ্দীন বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে সম্মানসূচক ট্যাক্স কার্ড গ্রহণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব ট্যাক্সেশন অ্যান্ড ফিসকাল কমপ্লায়েন্স মো. রেজওয়ান বিন রফিক এবং করপোরেট ট্যাক্সের জেনারেল ম্যানেজার মো. মহসিন।
গ্রামীণফোনের অ্যাক্টিং চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার এবং চিফ রিস্ক অফিসার মো. আরিফ উদ্দীন বলেন, জাতীয় কোষাগারের সমৃদ্ধিতে গ্রামীণফোনের অবদান ধারাবাহিকভাবে আট বছর স্বীকৃতি পেয়েছে, যা আমাদের জন্য সম্মানের। এটি সুশাসন ও দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক অনুশীলন অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকারের প্রমাণ। আমরা বিশ্বাস করি, জাতীয় অগ্রগতিতে কর রাজস্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা সমাজ ও সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করে তোলে এবং দেশের পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনে ভূমিকা রাখে। তাই, অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এই স্বীকৃতি অর্জন আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এবং আগামীতে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নততর এবং স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে আরও অনুপ্রাণিত করবে।
ইতোপূর্বে গ্রামীণফোন টেলিযোগাযোগ খাতে ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ এ সাত করবর্ষের জন্য ধারাবাহিকভাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সর্বোচ্চ করদাতার সম্মানে ভূষিত হয়। দেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার পাশাপাশি যাত্রার শুরু থেকেই সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি স্বচ্ছতা বজায় রেখে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় অঙ্গীকারবদ্ধ।