চীনের ৩১টি প্রদেশের সবগুলো এবং বিশ্বের অন্তত ১৮টি দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস বলেন, ‘এই ঘোষণার মাধ্যমে দুর্বল স্বাস্থ্য সেবার দেশগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হবে’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণার পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়িং বলেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আত্মবিশ্বাস ও সক্ষমতা বেইজিংয়ের রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চীন ডব্লিউএইচও এবং অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে’।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে চীনা কর্তৃপক্ষ করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১৭০ বলে জানায়। এক দিনের ব্যবধানে তা ২১৩-তে পৌঁছেছে। ফলে এই সময় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ২৫ শতাংশ।
করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে হলেও ক্রমেই তা অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। চীনের বাইরে অস্ট্রেলিয়া, কম্বোডিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, মালয়েশিয়া, নেপাল, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৮টি দেশে ৯৮ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে চীনের বাইরে এখনও কেউ মারা যায়নি। আক্রান্তদের বেশিরভাগই চীনের উহান শহর ভ্রমণ করেছিলেন।