এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোকাব্বির হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশিদের আনতে আমাদের একটি ফ্লাইট চীনে যাচ্ছে। তাদের নিয়ে আসার জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ফ্লাইটে যাওয়া ক্রুদেরও মেডিক্যাল ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিকাল ৩টার দিকে ৪১৯ জন যাত্রী বহনে সক্ষম একটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ চীনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। রাত দেড়টার দিকে উড়োজাহাজটির ফিরে আসার কথা। তবে দেশের ফেরার পর স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন না উহান ফেরত বাংলাদেশিরা। বিমানবন্দর থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে কুর্মিটোলা হজক্যাম্পে। সেখানে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থায় তাদের রাখা হবে। স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার জন্য ১৪ দিন পর্যন্ত তাদের সেখানে রাখা হতে পারে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোকাব্বির হোসেন জানান, চীন থেকে ফেরত আসার পর উড়োজাহাজটি জীবানুমুক্ত ফিউমেগেশনের জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চীন থেকে ফেরত আসাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রসঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমরা আশা করছি ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত কেউ নেই। তারপরও আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। হজক্যাম্পে তাদের রাখা হবে। সেখানে আমাদের চারটি মেডিক্যাল টিম থাকবে। তাদের সেখানে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা ও নির্ধারিত ১৪ দিনের মতো পর্যবেক্ষণে রাখার পর ফেরত আসা বাংলাদেশিরা বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে জানান তিনি।