এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, গত ১৫ অক্টোবর বিশ্বে প্রথমবারের মতো দৈনিক শনাক্ত ৪ লাখ অতিক্রম করে। তার ১৫ দিন পার না হতেই বুধবার এ সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়াল।
উত্তর গোলার্ধে শীত চলে আসায় বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ এবং লাতিন আমেরিকার একাংশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই করোনা ফের অতিমারীতে রূপ নিয়েছে। ভাইরাসটির সংক্রমণের নতুন ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। দৈনিক শনাক্তে নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে ইউরোপের কোথাও কোথাও । যে কারণে স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালি ফের লকডাউনে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
গত রোববার ফ্রান্সে রেকর্ড ৫০ হাজারের বেশি মানুষ কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবেলায় ইউরোপের অনেক দেশের সরকারক কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে কথা বলছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ইউরোপে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কেবল বুধবার মহাদেশটিতে প্রথমবার ২৪ ঘণ্টায় আড়াই লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে করোনায় সবচেয়ে বেশি বিপযস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে গত শুক্রবারও ৮৪ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটির প্রায় সব অঞ্চলে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।
এরইমধ্যে নির্বাচন চলছে দেশটি। যে কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বিধিনিষেধ কঠোর করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সীমিত করতে নারাজ।
এমতাবস্থায় দেশজুড়ে মাস্ক বাধ্যতামূলক না করা হলে দেশটিতে ফেব্রুয়ারির মধ্যে মৃত্যু ৫ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সতর্কও করেছেন গবেষকরা।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারসে দেয়া সর্বশেষ তথ্য বলছে, শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ৫৮২ জন। এ পর্যন্ত ১১ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এই ভাইরাসে। করোনামুক্তি ঘটেছে ৩ কোটি ৩০ লাখ ৩ হাজার ৬৯৪ জনের।