রোববার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে সেবার মান বৃদ্ধি বিষয়ক এক আলোচনা সভায় কাদের এ কথা বলেন। সভায় বিআরটিএ সদরদফতর, ঢাকা মহানগরী, এর পার্শ্ববর্তী জেলা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট জেলার কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছেন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে সরকার নাকি মিথ্যাচার করছে। দেশের কোনো সুখবর, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি তাদের গায়ে জ্বালা ধরায়, এজন্যই সবকিছু নিয়ে অবিশ্বাস আর মিথ্যাচার বিএনপির মজ্জাগত।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক ব্যর্থতাজনিত হতাশা বিএনপি গ্রাস করেছে। তাই দেশ ও সরকারের অর্থনৈতিক কোনো ইতিবাচক অর্জন তারা দেখতে পায় না।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, নতুন গতি এসেছে প্রবাসী আয়ে। আর এসব ইতিবাচক দিক বিএনপি দেখতে পায় না।
মন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরের শেষ দিকে করোনার নেতিবাচক প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি থমকে গিয়েছিল, তা সত্ত্বেও গত এক দশক ধরে দেশে জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় করোনার প্রভাব সত্ত্বেও প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের ওপরে অর্জিত হয়েছে।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, আত্মীয় ও দলীয় পরিচয় দিয়ে বিআরটিএতে যারা প্রভাব খাটাতে চায় তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিআরটিএতে নিয়ম-কানুন অনুযায়ী সবাইকে চলতে হবে, এর ব্যত্যয় ঘটলেই ব্যবস্থা নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।