মেডিকেল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের বাঁধা

মেডিকেল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের বাঁধা
মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনসহ চার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভরতদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। রোববার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই অবরোধ শুরু করে বেসরকারী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর ফলে শাহবাগে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে বেলা সোয়া ১টার দিকে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দেয়।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে প্রফ পরীক্ষা না নেওয়া, সেশনজট নিরসন করে যথাসময়ে কোর্স সম্পন্ন করার ব্যবস্থা, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬০ মাসের বেশি বেতন না নেওয়া ও মহামারীর সময় পরীক্ষা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলে দায়ভার কর্তৃপক্ষকে নেওয়ায় দাবি জানিয়ে আসছেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা।

এসব দাবি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবীর সঙ্গে দেখা করেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দাবি পূরণের নোটিসের আশায় বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জড়ো হন। সেখান থেকে তারা ডিনের কার্যালয়ে যান। কিন্তু নোটিস না পেয়ে বেলা ১১টার দিকে মেডিকেল শিক্ষার্থী মিছিল বের করে শাহবাগের দিকে রওনা হন। শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগ মোড়ে চলে আসেন এবং সেখানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন।

এরপর বেলা সোয়া ১টার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে অগ্রসর হলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করলে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় থেকে সরে জাতীয়  গণগ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেন।



শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি ডিসেম্বরে পরীক্ষা দিতে না চায়, তাহলে জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারিতে দিতে পারবে। এটা নিয়ে আলোচনা চলছে এবং পজিটিভলি এগোচ্ছি আমরা। কিন্তু পরীক্ষা না নিয়ে পরবর্তী ধাপের ক্লাস নেওয়া সম্ভব না। বিএমডিসির কারিকুলামে এ ধরনের কোনো সুযোগ নাই।

শাহরিয়ার নবী আরোও বলেন, এখন শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিএমডিসি চাইলে নীতিগত সিদ্ধান্ত দিতে পারে। এটা নিয়ে বিএমডিসির সাথে আলোচনা চলছে। কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারিনি আমরা।

এবিষয়ে জানতে বিএমডিসির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

তবে দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। করোনাকালীন সময়েও তাদের যৌক্তিক দাবী আদায়ে রাজপথে আন্দোলন করে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও এবিষয়ে কোন সমাধান হয়নি।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা
এসএসসির আগেই শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষা
নিয়োগ দেবে ইসলামী ব্যাংক, ৩৬ বছরেও আবেদনের সুযোগ
প্রাথমিকে বাৎসরিক ছুটি বাড়িয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ
এইচএসসি পাসে চাকরি দেবে আগোরা
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষা হবে আনন্দময়
আজ ৪৬তম বিসিএসের আবেদনের শেষ সময়
থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাবিতে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
আইআইএবি’র এজিএমে বোর্ড অব গভর্নরসের ১০ সদস্য নির্বাচিত
বসুন্ধরা গ্রুপে চাকরি, আবেদন শেষ ৫ জানুয়ারি