তিনি বলেন, সাধারণত এ ধরনের সম্মেলনে কেউ অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয় না। তবে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর সম্মানে তারা এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থমন্ত্রীর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ থেকে ৩০ জানুযারি দুই দিনব্যাপী রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিডিএফ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে ১২০ কোটি ডলার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আগামী চার বছরে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা। এ অর্থ ঋণ নয়, অনুদান হিসেবে দেবে তারা।
তিনি বলেন, এছাড়া বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে দুটি চলামন প্রকল্পে অতিরিক্ত ও একটি নতুন প্রকল্পে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থ অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এসব অর্থ বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ব্যয় হবে।
এছাড়া এ ফোরামে জাইকা ২৭০ কোটি ডলার ঋণ দেবে। এ ঋণ দিয়ে ৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
এর আগে ‘আপনি বিশ্বব্যাংকে বলেছিলেন- রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো অর্থ সহায়তা নয়, তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তারপরও তাদের অনুদান নেয়া হচ্ছে’ এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও তাদের ফিরিয়ে দিতে চাই। তবে ওভারনাইট তো তাদের ফিরিয়ে দেয়া যাচ্ছে না। আমরা দেশ হিসেবে তাদের ফেরাতে কাজ করছি। তারা ফিরবে। তবে যতদিন না ফিরছে ততদিন তাদের সাপোর্ট দিতে হবে। তাই এসব অনুদান নেয়া হচ্ছে।