একাদশ বিজেএস ফোরামের প্রথম নির্বাচন মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। বিজেএস ১১তম ব্যাচের বিচারকরা অনলাইন ভোট দেন। প্রত্যেক ভোটার গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ই-মেইলে ভোট প্রদান করেন। তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচন পরিচালনা করে।
১২০ জন সদস্যের মধ্যে তিনজন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন। মোট ভোটার ছিলেন ১১৭ জন। সভাপতি পদে ছগির আহমেদ টুটুল পেয়েছেন ১০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনা আলমগীর পেয়েছেন ১০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে আসমা জাহান পেয়েছেন ৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুজিবুর রহমান পেয়েছেন ৩৮ ভোট ও করিম বাঁধন পেয়েছেন ২৩ ভোট।
অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন- সহসভাপতি মো. অলি উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাফী আল আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউল্যাহ, কোষাধ্যক্ষ আশিষ রায়, তথ্য- প্রযুক্তি ও প্রচার সম্পাদক কামরুল হাসান, ক্রীড়া-সংস্কৃতি ও সাহিত্য সম্পাদক সাদাকাত মাহমুদ।
এছাড়া নির্বাহী সদস্য হিসেবে মোহাম্মদ জিয়াউল হক জিয়া, মো. আলমগীর হোসাইন, দোলন বিশ্বাস দোলা, ইফতেখার শাহরিয়ার ইফ্তি নির্বাচিত হন।
নব নির্বাচিত সভাপতি ছগির আহমেদ টুটুল নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত গঠনতন্ত্র প্রণয়ন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনসহ সার্বিক সহযোগিতায় যারা কাজ করেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমাকে ভোট দিয়ে ও শুভকামনা দিয়ে পাশে থাকার জন্য আমার ব্যাচমেট সকল বিচারকদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ। একাদশ বিজেএস ফোরামের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
সাধারণ সম্পাদক আসমা জাহান বলেন, এ ফোরামে প্রথম এবং নতুন কমিটি হিসেবে যারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন তাদেরসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকলের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা।
তিনি বলেন, আমার প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস রেখে যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে, আন্তরিক চেষ্টা থাকবে ফোরামের সকলের স্বার্থে সকল বাধার ঊর্ধ্বে গিয়ে কাজ করার। সম্মিলিত উদ্যোগে ও সামষ্টিক স্বার্থে কমিটির সকলে একত্রে একাদশ ফোরাম এবং সর্বোপরি বিচার বিভাগ, বাংলাদেশর উন্নয়নে কাজ করতে পারেন সেজন্য সবার দোয়া চান তিনি।
নির্বাচিত প্রত্যেক সদস্য দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন ও প্রথম এই কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন বছরের প্রথম দিন নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করবে।