শুক্রবার ব্যাপক বিবাদপূর্ণ এই সীমান্তে দুই দেশের সামরিক বাহিনী পরস্পরের অবস্থান লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র, মর্টার শেল নিক্ষেপ করলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, কাশ্মীরে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ছোড়া গোলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্তত চার সদস্য ও তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। গোলার আঘাতে আরও বেশ কয়েকজন ভারতীয় সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির অপর সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) ভারতীয় সামরিক বাহিনীর পাল্টা গোলাবর্ষণে পাকিস্তানি অন্তত ৮ সৈন্য নিহত হয়েছেন।
ওই সূত্র বলছে, নিহতদের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের দুই থেকে তিনজন কমান্ডোও রয়েছেন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের কড়া জবাব দিয়েছে। ভারতীয় সৈন্যদের গোলায় পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তবে পাকিস্তান বলছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ছোড়া গোলায় চারজন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছেন। এছাড়া শিশুসহ আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের টুইটার অ্যাকাউন্টে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানি বাঙ্কার উড়িয়ে দেয়ার একাধিক ভিডিও টুইট করা হয়েছে। টুইটে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিনা প্ররোচনায় হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
টুইটে বলা হয়, পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি অস্ত্রাগার, সন্ত্রাসী আস্তানা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দফতর এক টুইট বার্তায় ভারতীয় সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার রাখচিকরি এবং খঞ্জর এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার অভিযোগ করা হয়।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, কিরান সেক্টরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা প্রতিরোধ করেছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারীরা ভারতীয় সৈন্যদের লক্ষ্য করে মর্টার এবং অন্যান্য অস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর যথাযথ জবাব দেয়া হয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।