হারাম উপার্জন দান করা নিয়ে যা বলেছে ইসলাম

হারাম উপার্জন দান করা নিয়ে যা বলেছে ইসলাম
মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন। দিয়েছেন সুন্দরতম অবয়ব। শিক্ষা দিয়েছেন হালাল-হারাম পথ। বলে দিয়েছেন, হালাল পথে রয়েছে, অফুরন্ত জান্নাতের নেয়ামত। আর হারাম উপার্জনে রয়েছে, জাহান্নামের মর্মন্তুদ শাস্তি। ইসলামে হালাল উপার্জনের গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামি শরিয়তের দিকনির্দেশনা হলো হালাল পথে জীবিকা উপার্জন করা।

অন্যায়, অবৈধ পন্থায় সব উপার্জন হারাম। সুদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, জুয়া, মিথ্যাচার, চাঁদাবাজি, জবরদখল, যৌতুক, প্রতারণা ও প্রশ্নফাঁসসহ যাবতীয় অসামাজিক অনাচারে লিপ্ত হয়ে জীবিকা উপার্জন করা হারাম। এসব পন্থায় উপার্জন করার ব্যাপারে মহান আল্লাহ নিষেধ করে বলেন, তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অবৈধ পন্থায় গ্রাস কোরো না এবং মানুষের ধনসম্পত্তির কিয়দাংশ জেনে-শুনে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে তা বিচারকদের কাছে নিয়ে যেয়ো না। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৮)

জীবন চলার পথে সুখ-দুঃখ আসবে। তবে সব সময় হালাল পথেই চলতে হবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদাররা! তোমরা পবিত্র বস্তু আহার করো, যেগুলো আমি তোমাদের রিজিক হিসেবে দান করেছি এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করো, যদি তোমরা একমাত্র তারই ইবাদত করে থাকো। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৭২)

হারাম উপার্জন থেকে দান করে নেকির আশা করাটাও গুনাহের কাজ। অনেকের ধারণা অবৈধ উপার্জন করে কিছু দান করে দিলে আর হজ সম্পাদন করলে সব সম্পদ বৈধ হয়ে যায়! অথচ বিষয়টি মোটেও সত্য নয় । অবৈধ উপার্জনের জন্য অবশ্যই কিয়ামতের দিন জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে।

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিনে কোনো মানুষ নিজের স্থান থেকে এক বিন্দুও সরতে পারবে না, যতক্ষণ না তার কাছ থেকে চারটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে নেয়া হবে। তন্মধ্যে একটি প্রশ্ন হচ্ছে, নিজের ধন-সম্পদ কোথা থেকে উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে? (তিরমিজি: ২৪১৭)

এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

যানবাহনে চলাচলের তাসবিহ ও দোয়া পড়ার নিয়ম
জুমার জন্য যে ৪ কাজ জরুরি
সৌদির নতুন গ্র্যান্ড মুফতি ড. শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ
চাঁদ দেখা গেছে, রবিউস সানি মাস শুরু বুধবার
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনে বর্ণাঢ্য জাতীয় কর্মসূচি
মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা কি মাকরুহ?
জুমার দিনের ১০ আমল
হজ ও ওমরাহ নিয়ে বিশাল সুখবর
জোহর-আসর নামাজের কেরাত আস্তে পড়তে হয় কেন?