লকডাউন উঠে গেলেও মহামারীকালে আয় কমেছে ভারতীয়দের। ফলে স্বর্ণ কেনা কমিয়ে দিয়েছেন তারা। এর জের ধরে চলতি বছর দেশটিতে মূল্যবান ধাতুটির সম্মিলিত চাহিদা কমে ১৯৯৫ সালের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও ইকোনমিক টাইমস।
ডব্লিউজিসি ভারতের বাজারে স্বর্ণের সম্মিলিত চাহিদা ১৯৯৫ সালের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসার সম্ভাবনা দেখছে। ওই বছর ভারতে মূল্যবান ধাতুটির সম্মিলিত চাহিদা ৪৬২ টনে নেমে এসেছিল। ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটাই স্বর্ণের সর্বনিম্ন বার্ষিক চাহিদা। তবে মন্দা ভাব কাটিয়ে ১৯৯৬ সালেই দেশটিতে মূল্যবান ধাতুটির চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ৫১১ টনে। আর ২০০২ ও ২০০৯ সালে দেশটিতে মূল্যবান ধাতুটির সম্মিলিত চাহিদার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫৪৭ ও ৬৪২ টন। এছাড়া প্রতি বছরই দেশটিতে স্বর্ণের চাহিদা ৬৫০ টনের ওপরে ছিল।
ডব্লিউজিসির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারীর ধাক্কায় চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ভারতে স্বর্ণের চাহিদা ৮৬ দশমিক ৬ টনে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম। ২০১৯ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশটিতে মূল্যবান ধাতুটির চাহিদা ছিল ১২৩ দশমিক ৯ টন। সেই হিসাবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভারতের বাজারে স্বর্ণের চাহিদা কমেছে ৩৭ দশমিক ৩ টন।
ডব্লিউজিসি ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোমাসুন্দরম পিআর বলেন, ভারতের স্বর্ণ শিল্পের জন্য ২০২০ সাল একটি মহামন্দার বছর। করোনা মহামারীর কারণে ২৫ বছরের মধ্যে এবারই মূল্যবান ধাতুটির চাহিদা সবচেয়ে কমে আসছে। এ ধাক্কা সামলানো খাতসংশ্লিষ্টদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
অর্থসংবাদ/এসএ