গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে ১০ দিনের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া এ বিষয়ে পদক্ষেপ লিখিতভাবে হলফনামা আকারে দুদক চেয়ারম্যানকে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পি কে হালদার জালিয়াতির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে নামে-বেনামে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা বের করে নেন। তিনি গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দিতে পারছিল না। এ কারণে একাধিক গ্রাহক আদালতের শরণাপন্ন হন। পরে হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেন।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ পরে দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিলে হাইকোর্ট গত মার্চে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেন সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খানকে।
একপর্যায়ে পি কে হালদার দেশে ফিরে অর্থ ফেরত দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পি কে হালদারের ওই আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ উদ্ধারের জন্য আদালতের জিম্মায় ও তত্ত্বাবধানে তাঁকে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল ইন্টারন্যাশনাল লিজিং।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ পি কে হালদার কবে, কখন ও কোন ফ্লাইটে বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন, এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে বলেছিলেন।
তখন দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে (ইকে ৫৮২) ২৫ অক্টোবর সকাল ৮টা ১০ মিনিটে পি কে হালদারেরর দেশে ফেরার কথা আদালতকে জানানো হয়েছিল। এই ফ্লাইট সূচি উল্লেখ করে নির্দেশনা চেয়ে আদালতে আরেকটি আবেদন করেছিল ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। এর শুনানি নিয়ে গত ২১ অক্টোবর পি কে হালদার বিমান থেকে নামামাত্রই গ্রেপ্তার করে তাঁকে উপযুক্ত আদালতে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।
অর্থসংবাদ/ এমএস/১৪:৩৭/ ১১: ১৯: ২০২০