প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চলতি বছরের মার্চ-জুন সময়ে এলডিসিসহ গোটা বিশ্ব বাণিজ্যই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দুনিয়াজুড়ে দেশে দেশে লকডাউন আর পরস্পরের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য কমিয়ে দেওয়ায় এমনটি হয়েছে। এই চার মাসে এলডিসিগুলোর সমন্বিত পণ্য রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ২১ শতাংশ। তবে সব এলডিসির রপ্তানি একই হারে কমেনি, বরং দুই-তৃতীয়াংশ স্বল্পোন্নত দেশের রপ্তানি এলডিসির সমন্বিত রপ্তানি যে হারে কমেছে, তার চেয়ে বেশি হারে কমেছে।
প্রতিবেদনে এলডিসির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পন্নকারী ৯৭টি উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ৯৭টি দেশই এলডিসির সিংহভাগ বাণিজ্যের অংশীদার। উল্লেখ্য, বর্তমানে ৪৭টি দেশ জাতিসংঘের মানদণ্ড অনুসারে এলডিসি, যার মধ্যে ৩৬টি দেশ ডব্লিউটিওর সদস্য।
ডব্লিউটিওর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে এলডিসিগুলোর মোট পণ্য রপ্তানি ৩ দশমিক ১০ শতাংশ কমে হয়েছে ১৯ হাজার কোটি ডলারের কিছু ওপরে। একই সময়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সমন্বিত পণ্য আমদানি দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়ে হয় প্রায় ২৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। চলতি বছরের প্রথমার্ধে বৈশ্বিক পণ্য রপ্তানি কমেছে ১৩ শতাংশ হারে, সেখানে এলডিসিগুলোর সমন্বিত পণ্য রপ্তানি কমেছে ১৬ শতাংশ।
এই সময়কালে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সমন্বিত পণ্য রপ্তানি সবচেয়ে বেশি কমেছে ভারতে, যা প্রায় ৪৬ শতাংশ। এলডিসির শীর্ষ দুই রপ্তানিকারক দেশ অ্যাঙ্গোলা ও বাংলাদেশের রপ্তানি চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে (২৭টি ইউরোপীয় দেশের জোট) যথাক্রমে ৪৬ ও ৩০ শতাংশ হারে কমেছে।
এলডিসির মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানির শীর্ষ দেশ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি (মার্চ-জুন) কমেছে ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ বর্তমানে বৈশ্বিক তৈরি পোশাক রপ্তানির দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। প্রথম স্থানে আছে চীন।
অর্থসংবাদ/ এমএস/ ১৪: ৩২/ ১১: ২১: ২০২০