গতবার চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেলেও এবার সেটি বেড়ে ১১-তে দাঁড়িয়েছে। প্রথমবারের মতো র্যাংকিংয়ে স্থান পাওয়া ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ই বেসরকারি। এসব হচ্ছে-ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
এবারও দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থান পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এর অবস্থান ১৩৪তম। গত বছরের (২০২০) র্যাংকিংয়ে ঢাবির অবস্থান ছিল ১৩৫তম। সে হিসেবে এবার একধাপ উপরে উঠেছে দেশসেরা এই বিদ্যাপীঠ।
র্যাংকিং অনুযায়ী দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। এর পরেই রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়া ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। সপ্তম অবস্থানে রয়েছে আহ্ছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি এবং অষ্টম অবস্থানে রয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এছাড়া দেশের আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এই র্যাংকিংয়ে স্থান পায়নি।
এরপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ১৯৯তম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ২২৮তম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ২৭১-৮০তম, ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ৩৫০-৪০০তম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৪০১-৪৫০তম, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৪৫১-৫০০তম, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ৫৫১-৬০০তম অবস্থানে আছে।
বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ের বিশ্ব-স্বীকৃত তিনটি তালিকার অন্যতম একটি কিউএস ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং। অপর দুইটি হচ্ছে অ্যাকাডেমিক র্যাংকিং অব ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিস এবং টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি তালিকায়ই মর্যদাপূর্ন অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, এই র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের গবেষণা, উদ্ভাবন, চাকরিতে স্নাতকদের কর্মক্ষমতা, সামাজিক প্রভাব, এ্যাকাডেমিক খ্যাতি, অনুষদ সদস্যদের গবেষণা প্রকাশনা, পিএইচডি ডিগ্রি এবং কর্মীদের সংখ্যা দেখা হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কোয়াককোয়ারেল সাইমন্ডস (কিউএস) প্রতিবছর মোট ১১টি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে সারা পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক র্যাংকিং প্রকাশ করে থাকে। ১১টি মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে: প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাফল্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাফল্য, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক, গবেষণা প্রবন্ধের সাইটেশন, পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সংখ্যা, আন্তর্জাতিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুপাত, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বিনিময়ের হার ইত্যাদি।
অর্থসংবাদ/এ এইচ আর ১১:২০/ ১১:২৬:২০২০