১৭৩ জাতীয়তার ১৫ হাজার মানুষের ওপর পরিচালিত একটি বৈশ্বিক জরিপে এ তিনটি শহরের র্যাংকিং সর্বনিম্নে। স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে উদ্বেগ, নিরাপত্তা, জীবন ও জীবিকার ভারসাম্য এবং আবাসনের সহজলভ্যতা—এমন ইস্যুতে রেটিং করেছে ইন্টারন্যাশনস নামে একটি সংগঠন। মিউনিখভিত্তিক এ প্রবাসী নেটওয়ার্কটির সদস্য সংখ্যা ৪০ লাখ।
ইন্টারন্যাশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সহ-শীর্ষ নির্বাহী মাল্টে জিক বলেন, নিউইয়র্ক, টোকিও, প্যারিস, হংকং ও লন্ডনের প্রবাসীরা সাশ্রয়ী আবাসন সুবিধা পেতে হিমশিম খায়। এ শহরগুলোয় জীবন ও জীবিকার ভারসাম্য আনতে প্রবাসী বাসিন্দাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে।
অন্যদিকে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দশের এক-চতুর্থাংশ জায়গা দখল করে রেখেছে স্পেনের শহরগুলো। জলবায়ু পরিবর্তন, আবাসন সহজলভ্যতা, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি স্কোর বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে স্পেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ভ্যালেন্সিয়া। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভ্যালেন্সিয়ার ১০০ মাইল দূরের শহর আলিকান্তে। উপকূলীয় শহরটির মোট বাসিন্দা ৩ লাখ ৩০ হাজার। স্পেনের মালাগা ও মাদ্রিদের অবস্থান যথাক্রমে ষষ্ঠ ও নবম।
স্পেনের চারটি শহরের পাশাপাশি শীর্ষ দশে থাকা অন্য শহরগুলো হচ্ছে লিসবন, পানামা সিটি, সিঙ্গাপুর, বুয়েন্স আয়ারস, কুয়ালালামপুর ও আবুধাবি।
ভ্যালেন্সিয়ায় বসবাস করা ডেরেক চ্যান্দরোয়াং নামে এক আমেরিকান প্রবাসী বলেন, নাগরিক সব সুবিধার আদর্শ সমন্বয় ঘটেছে ভ্যালেন্সিয়ায়। মাঝারি আকারের শহর হলেও সৈকতের কাছাকাছি হওয়ায় শহরটিতে বসবাস আরামদায়ক। ১৫ বছর লন্ডনে অবস্থান করার পর সম্প্রতি স্পেনের এ শহরটিতে বসবাস শুরু করেছেন তিনি।
শহরে সহজেই এসে বসবাস শুরু করা যায় এবং শহরটির ভালো আবহাওয়া ও অসাধারণ জীবনমানের কারণে র্যাংকিংয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লিসবন। বছরে ৩০০ দিন সূর্যালোকের জন্য বিখ্যাত পর্তুগালের এ রাজধানী শহরটি।
কাজের পরিবেশ ও সুযোগের বিবেচনায় পিছিয়ে গেছে প্রথাগতভাবে বিবেচিত বৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য নগরীগুলো। হংকংয়ের অবস্থান নেমে এসেছে ৫৯তমে। তার নিচেই দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের অবস্থান ৬১তম। প্রবাসীদের আর্থিক সংগতি, আবাসন ব্যয় ইত্যাদি বিবেচনায় যুগ্মভাবে সিউলের সঙ্গে অবস্থান প্যারিসের। ৬৬টি শহরের মধ্যে লন্ডনের অবস্থান ৫১তম এবং মার্কিন মহানগরী নিউইয়র্কের অবস্থান ৩৪। এ শহরগুলোয় সহজেই ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব হলেও সেখানে আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবা অনেক ব্যয়বহুল।
অর্থসংবাদ/ এমএস