দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, জাকরাফান্থ থোম্মা নামে সামরিক বাহিনীর ওই জুনিয়র অফিসার প্রথমে তার কমান্ডিং অফিসারের ওপর হামলা চালিয়ে সামরিক ক্যাম্প থেকে বন্দুক ও বিস্ফোরক চুরি করে।
এরপর ওই ব্যক্তি কোরাট শহরের একটি বৌদ্ধ মন্দির এবং একটি শপিং সেন্টারে এলোপাথাড়ি গুলি চালান বলে জানা গেছে।
সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বর্তমানে শপিং সেন্টারের বেসমেন্টে লুকিয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
তাকে খুঁজে বের করতে পুরো শপিং সেন্টারটি চারিদিক থেকে কর্তৃপক্ষ ঘেরাও করে রেখেছে।
এরইমধ্যে শপিং সেন্টারের কাছে গোলাগুলির দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে।
এছাড়া স্থানীয় মিডিয়া ফুটেজে দেখা গেছে যে, সন্দেহভাজন মুয়াং জেলার টার্মিনাল ২১ শপিং সেন্টারের সামনে গাড়ি থেকে নামছেন এবং এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছেন।
এ সময় আশেপাশের লোকজন প্রাণ বাঁচাতে পালাতে থাকে।
হামলার সময় সন্দেহভাজন তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলিতে পোস্ট দিতে থাকেন।
এরমধ্যে ফেসবুকের একটি পোস্টে তিনি জানতে চান যে তার আত্মসমর্পণ করা উচিত হবে কিনা।
তিনি এর আগে তিনটি বুলেটসহ একটি পিস্তলের ছবি পোস্ট করেন, এবং ওই ছবির ওপরে লেখেন: "এটি উত্তেজিত হওয়ার সময়।"
থাইল্যান্ডের স্থানীয় গণমাধ্যমেও কমপক্ষে ১২জন নিহতের খবর প্রচার করা হচ্ছে। সূত্র-বিবিসি