শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বাহরাইনের জাতীয় স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (এনএইচআরএ) এ অনুমোদন দিয়েছে। দেশটির জাতীয় বার্তা সংস্থা বিএনএ’র বরাত দিয়ে আল জাজিরা এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাহরাইন। গত ৩ ডিসেম্বর প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজারের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য।
এনএইচআরএ জানায়, ফাইজারের করোনা টিকা উচ্চঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের ওপর ব্যবহারের জন্য বাহরাইন অনুমোদন দিয়েছে।
তবে কি পরিমাণ টিকা কেনা হয়েছে বা কবে নাগাদ এটি প্রয়োগ শুরু হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাই নি বাহরাইন। এ নিয়ে মন্তব্য করেনি ফাইজারও।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাহরাইনের জন্য ফাইজারের টিকা পরিবহন ও বিতরণ বড় চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ এই টিকা পরিবহন ও সংরক্ষণ করতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইনে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায় নিয়মিতই।
বাহরাইন টিকা পরিবহনে তাদের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা গালফ এয়ারের উড়োজাহাজ ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া তাদের পার্শ্ববতী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, তারা উচ্চশীতল তাপমাত্রায় টিকা পরিবহনের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে।
করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্ত হতে এই টিকা তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ নিতে হবে।
বাহরাইন ইতোমধ্যে চীনের সিনোফর্মের তৈরি করোনা টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এই টিকা প্রায় ৬ হাজার মানুষকে দেওয়া হয়েছে।
এনএফআরএ’র প্রধান নির্বাহী মরিয়ম আল-জালাহমা বলেছেন, ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার অনুমোদন দেশটিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পারস্য উপসাগরের সৌদ আবর উপকূলের দ্বীপ রাষ্ট্র বাহরাইনের জনসংখ্যা ১৬ লাখ। এখন পর্যন্ত ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন অন্তত ৩৪১ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ।