গত ২৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) এ ধরনের প্রস্তাব পাঠিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এর আগে বুয়েটের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এবং তারা সম্মত হলে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের পরবর্তী সভায় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। তবে এটি চূড়ান্ত নয় বলে বুয়েট জানিয়েছে।
বুয়েটের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে চারটি প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমসিকিউ পরীক্ষা হবে। এতে উত্তীর্ণ ভর্তিচ্ছুরা পরে বুয়েট ক্যাম্পাসে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবে। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে।
বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, ‘অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসিকে বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আলোচনা করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘এ সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে হবে। এই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত নয়। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ভাবছে তার ওপর সব নির্ভর করছে। বুয়েটে কীভাবে ভর্তি পরীক্ষা হবে তা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের পরবর্তী সভায় হয়তো সিদ্ধান্ত হতে পারে।’
এ বিষয়ে ইউজিসির সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করবে বুয়েট। দুটি ধাপে পরীক্ষার আয়োজন করবে বলে জানানো হয়েছে। আমরা চাই সব বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করুক, তবে কারোর ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না।’
সূত্রে গেছে, প্রস্তাবিত চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এভাবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হলেও তাতে নেতৃত্ব থাকতে চায় বুয়েট। এ প্রস্তাব মোতাবেক ভর্তি পরীক্ষা সিংহভাগ হবে বুয়েট ক্যাম্পাসে। এ সিদ্ধান্তে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় রাজি না হলে আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। বুয়েটের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তিচ্ছু বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে।