যদিও চীনের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এখনও ব্যাপকহারে বিতরণের জন্য দেশের কোনো ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেয়নি। দেশটি শুধু জরুরি ব্যবহারের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে।
গতকাল সোমবার ইন্দোনেশিয়া সরকারের করোনার মোকাবিলা দলের প্রধান আয়ারলাঙ্গা হারতার্তো বলেন, প্রথম চালানে আসা ভ্যাকসিন ডোজ পরীক্ষা করে দেখবে খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষ। আর সবার আগে স্বাস্থ্যকর্মী ও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা অন্যান্য গোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
ভ্যাকসিনের প্রথম চালান গ্রহণ করে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেন, ‘আমরা কৃতজ্ঞ যে এই ভ্যাকসিনটি এখন পাওয়া যাচ্ছে এবং আমরা দ্রুতই কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের বিস্তার রোধ করতে পারি।’ জনস্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সব পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে চীনের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তাদের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে। তবে কবে নাগাদ উন্নয়নশীল দেশগুলো সেই টিকা পাচ্ছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি। এদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলছে, চীনের বিভিন্ন প্রদেশে নিজেদের তৈরি করোনার টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। যদিও এ টিকা কার্যকর হবে কিনা, তা নিয়ে দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরাই এখনও অন্ধকারে রয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতোমধ্যে দেশটি করোনার পাঁচটি টিকা নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে চারটির পরীক্ষা চলছে রাশিয়া, মিসর, মেক্সিকোসহ ডজনখানেক দেশে, যা তৃতীয় ও শেষ পর্যায়ের ট্রায়েলে রয়েছে।
জানা গেছে, নভেম্বরে চীনের সিনোফার্মের টিকা ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদনের পরপরই এটি বাজারে ছাড়ার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের টিকা স্বাস্থ্যকর্মী ও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের শরীরে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার থেকে যুক্তরাজ্যে ফাইজার ও বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনা টিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার পর সেখানে টিকাটি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর এই কার্যক্রম তদারক করবে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)। এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।