সূত্র মতে, বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি ইতোমধ্যে ব্যাংকাস্যুরেন্স নীতিমালার একটি খসড়া তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে গত ১৭ নভেম্বর প্রকাশ করেছে। প্রকাশের তারিখ থেকে পরবর্তী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের মতামত পাঠাতে বলা হয়েছে। মতামত পাঠাতে হবে ই-মেইলে সফটকপি (মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে) ও হার্ডকপি (পিডিএফ) আকারে। বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও খসড়া নীতিমালাটির বিষয়ে মতামত প্রদান করতে পারবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।
নীতিমালাটির খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষাভাবে নিয়ন্ত্রিত যেকোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্ট হওয়ার যোগ্যতা রাখে। এক্ষেত্রে আবেদনকারী ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) বা অন্য কোন দলিলের মাধ্যমে এজেন্ট হিসেবে লাইসেন্সপ্রাপ্তির পর বীমা ব্যবসা সংগ্রহ করা নিশ্চিত করবে।
কোন ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্ট নির্দিষ্ট প্রকারের বীমা কোম্পানির তিনের অধিক লাইফ বা নন-লাইফ বীমা কোম্পানির সাথে যুক্ত হতে পারবে না। বীমা কোম্পানিকে এজেন্টের সাথে চুক্তির আগে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে এবং ব্যাংকাস্যুরেন্স এজেন্টকে অনুমোদন নিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
ব্যাংকের সম্মানীর বিষয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, করপোরেট বীমা এজেন্ট হিসেবে বীমা ব্যবসা সংগ্রহ ও পরিচালনার জন্য ব্যাংকের সম্মানীর মাত্রা নির্ধারিত হবে তার কর্মদক্ষতার নির্ণায়কের ওপর যাতে বীমাকারী ও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান একমত হবে। সম্মানীর কাঠামো ও হার ব্যাংকাস্যুরেন্স চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।