আজ (১৪ ডিসেম্বর) এ রায় দেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এম এ নাসের। রায় ঘোষণার সময় ৭ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল আর পলাতক ছিল একজন।
২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানাধীন বিশ্ব কলোনি এলাকার ‘আয়শা মমতাজ মহল’ নামের একটি বাড়ি থেকে পুলিশ মীমের মরদেহ উদ্ধার করে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় পরদিন (২২ জানুয়ারি) রাতে মীমের মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি মামলার পাঁচ আসামি মো. বেলাল হোসেন ওরফে বিজয় (১৮), মো. রবিউল ইসলাম ওরফে রুবেল (১৬), মো. হাছিবুল ইসলাম ওরফে লিটন (২৬), মো. আকসান মিয়া ওরফে হাসান (১৮) ও মো. সুজন (২০) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পিপি এম এ নাসের বলেন, ‘ফাতেমা আক্তার মীম হত্যাকাণ্ডের সকল আসামিকে আদালত মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।’
সেসময় পুলিশ জানান, মায়ের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে শিশু ফাতেমা আক্তার মীমকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির মায়ের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আসামি বেলাল হোসেন বিজয়ের মায়ের বিরোধ ছিল। তার জেরেই বিজয় অন্যান্য আসামিদের যোগসাজশে তাকে তুলে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে।