প্রতিবেদনে নিরীক্ষক ম্যাবস জে পার্টনার্স চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট জানিয়েছে, কোম্পানিটি ২ দফায় শেয়ারবাজার থেকে ঋণ পরিশোধের নামে অর্থ সংগ্রহ করেছে। অথচ ওই কোম্পানি থেকেই উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের অন্য কোম্পানিতে প্রায় ৮২ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের থেকে অনুমোদন নেয়নি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।
এর আগে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুসন্ধানে কোম্পানির ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ উঠে আসে। কোম্পানি ঋণে জর্জরিত থাকলেও একই গ্রুপের উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের নিজস্ব কোম্পানিতে বিনাসুদে ঋণ দিয়েছে। এতে গোল্ডেন হার্ভেস্টকেই সুদজনিত ব্যয় বহন করতে হচ্ছে, যার দায় টানছেন বিনিয়োগকারীরা।
বার্ষিক প্রতিবেদনে নিরীক্ষক আরও জানিয়েছে, গোল্ডেন হার্ভেস্ট থেকে একই গ্রুপের অন্যান্য কোম্পানিতে ৮১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। যা ‘আদার রিসিভিব্যল’ হিসাবে চলতি সম্পদ দেখানো হয়েছে। তবে এই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে সমন্বিত আর্থিক হিসাবের নোট ২৫.০২ এ ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) হিসাবে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার সঞ্চিতি দেখানো হয়েছে, যা চলতি দায় হিসাবে এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার ফান্ড শিরোনামে ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার ফান্ড শিরোনামে ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ডব্লিউপিপিএফ শিরোনামে ১ কোটি ৫২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। কিন্তু শ্রম আইন অনুযায়ী বিতরণ করা হয়নি। এক্ষেত্রেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে।