জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গত দশ মাসে অন্তত ৫ শতাধিক পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষায় অনেকে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বিলম্বের কারণে অটোপাশের দাবিও উঠেছিল। তবে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অটোপাস দেয়া হলেও এ স্তরে তা দেয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। তবে এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মহলের আশঙ্কা অন্তত দুই বছরের সেশন জটে পড়তে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
নোটিশ দিয়ে যেসব পরীক্ষা স্থগিত করেছিল সে পরীক্ষাগুলো আগে নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রফেশনাল পরীক্ষাও নেওয়া হবে। স্থগিত পরীক্ষা নেওয়া শেষ হলে অন্য পরীক্ষাগুলোও নেওয়া হবে।এর আগে গত সেপ্টেম্বরে অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসব শিক্ষার্থীর ক্লাসও হয়নি। ফরম পূরণও হয়নি। ফলে যথাসময়ে পরীক্ষাও নেওয়া যায়নি। এই পরীক্ষাও ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যেই নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বদরুজ্জামান জানিয়েছেন, দীর্ঘ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ১০ মাসের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের মধ্যেই শেষ করা যাবে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, আগে এক দিনে ৪ লাখ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া যেত। এখন করোনা সংক্রমণের ভয়ে সেটি করা যাচ্ছে না। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার কারণে এক দিনে ১ লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। এ কারণে পূর্বের এক দিনের পরীক্ষা নিতে এখন চার দিন সময় প্রয়োজন হবে। এ কারণে একটি বর্ষের পরীক্ষা শেষ করতে চার গুণ সময় লাগবে।
এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ (প্রফেশনাল) চতুর্থ বর্ষের ৮ম সেমিস্টারের ফরম পূরণের নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই পরীক্ষাও জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স ইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ফরম পূরণের নোটিশ জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছরের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বেশির ভাগ বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হলেও করোনা মহামারির কারণে দুটি থেকে পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষা আটকে যায়। তখন থেকেই অপেক্ষায় রয়েছেন কবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই পরীক্ষা দিয়েই স্থগিত পরীক্ষা নেওয়া শুরু করা হচ্ছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।