রোববার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর বহুল আলোচিত মামলাটির রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। পরে গত ৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু ওইদিন মামলার রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক ২০ ডিসেম্বর নতুন করে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। বর্তমানে দুই আসামিই পলাতক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৩ জুন পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় প্রথমে সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরেদিন লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।
শিশুটির পিতা কে এ আজম বাদী হয়ে ২৪ জুন আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এশা ও বাক্কু হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ওসি কাজী শাহান হক এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন