রায়ান কাজী যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে থাকে। তবে যাঁদের ইউটিউবে নিয়মিত যাতায়াত, তাঁরা অবশ্য রায়ান সম্পর্কে জানেন। রায়ানের এ কীর্তি তাঁদের কাছে নতুন নয়। দুই বছর আগে ২০১৮ সালেও সবচেয়ে বেশি আয়কারী ইউটিউবারের তকমা ছিল রায়ানের কাছে। ২০১৭ সালেও সাত বছর বয়সেও ইউটিউব থেকে আয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিল রায়ান। গত বছর ইউটিউব থেকে রায়ানের আয় ২৬ মিলিয়ন ডলার। একই ধারাবাহিকতা এ বছরও বজায় রেখে আয়ে ইউটিউবারদের সবার ওপরের জায়গাটা টানা তৃতীয়বারের মতো নিজের কাছেই রেখেছে ওই খুদে বিস্ময়।
এ বছর ইউটিউব থেকে ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার আয় ছাড়াও আরও আয় আছে রায়ানের। নিজস্ব ব্র্যান্ডের খেলনা ও পোশাক এবং মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার ব্র্যান্ডের পায়জামা থেকে রায়ানের আয় আনুমানিক ২০০ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া টেলিভিশন চ্যানেল নিকিলোডিওন তার সঙ্গে কয়েক মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। তবে চুক্তির অঙ্কটা অপ্রকাশিত। চ্যানেলটি নিজস্ব টিভি সিরিজ প্রচারের জন্য রায়ানকে মোটা অঙ্কেই রাজি করিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ছোটবেলায় শিশুদের খেলনার ভিডিও দেখে রায়ান মাকে বলে, কেন আমি ইউটিউবে নেই, যেখানে অন্য সব শিশুই আছে? এরপরই তিন বছর বয়সে (২০১৫) রায়ানের মা–বাবা ইউটিউবে ‘রায়ানস টয়েস রিভিউ’ নামের একটি চ্যানেল খুলে দেন। পরে অবশ্য চ্যানেলটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘রায়ানস ওয়ার্ল্ড’। আজ পর্যন্ত এই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা চার কোটি পেরিয়ে গেছে। ইউটিউবে সবাই তাকে প্রভাবশালী শিশু বলেই ডাকে।
তবে তার আসল নাম রায়ান গুয়ান। ইউটিউবে তার নামে গুয়ান বাদে কাজী জুড়ে দেওয়া হয়। তবে আয়ের কারণে নানা ঝামেলায়ও পোহাতে হয় রায়ানকে। আমেরিকার ফেডারেল ট্রেড কমিশনের ধারণা, ইউটিউব কর্তৃপক্ষ রায়ানের আয়ের সঠিক তথ্য কর দেওয়ার ভয়ে দেয় না। কেউ কেউ রায়ানের খাবারের ভিডিওগুলোর খাদ্যমান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সূত্র:গার্ডিয়ান ও ফোর্বস।