আজ রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ (শীতকালীন)-২০২০ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এই কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। কাজেই আমাদের বিমানবাহিনীর প্রতিটি সদস্য এবং বিশেষ করে আমার নবীন ক্যাডেট যাদের সবাইকে আমি এইটুকুই বলবো, আমরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জনকারী একটি দেশ, একটি জাতি সেই কথা সব সময় মাথায় রেখে মনে সাহস রেখে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলতে হবে। এবং নিজেদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আজকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অংশগ্রহণ করি। সেখানে বিভিন্ন দেশেরও সদস্যরা আসে। বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী সকলেই। তাদের সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে চলতে হবে। যেন কোনদিক থেকে বাংলাদেশ যেন কোন কিছুতে যেন পিছিয়ে না থাকে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই যা যা দরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা, আমরা সেটা করে যাচ্ছি।
শেখ মুজিবের নির্দেশনা, কথা, বক্তব্য- সব সময় মনে রাখতে পারলে আমি মনে করি নিজেদেরকে সততার সাথে, নিষ্ঠার সাথে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে এবং দেশকেও অনেক কিছু দেবার সুযোগ পাবে- বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, বিমান বাহিনীর এই অনন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমি ক্যাডেটদের বলব যে তোমরা নিজেদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলবে যেন এই বাংলাদেশ তোমাদের মত তরুণদের কাছে যে প্রত্যাশা করে সেটা যেন তোমরা পূরণ করতে পারো।
অনুষ্ঠানে শোনানো জাতির পিতার ভাষণের কথা তুলে ধরে নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, কিছুক্ষণ আগে জাতির পিতার ভাষণ আমরা শুনেছি। তিনি নবীন ক্যাডেটদের বলেছেন যারা নবীন কর্মকর্তা হতে যাচ্ছেন অর্থাৎ জীবনের একটি পর্যায় প্রশিক্ষণের পর্যায়ে শেষ করে এখন দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। তাদের দায়িত্ববোধ, দেশপ্রেম এটা থাকতে হবে। আর সেই সাথে সাথে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যুদ্ধাহত সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য, বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে নিহত সকল শহীদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।