গত শনিবার দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেন কেপি শর্মা ওলি। এরপর আজ রবিবার সকালে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এখন সরকার ভেঙে দেওয়া হোক।’
গণমাধ্যম দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট এক প্রতিবেদনে বলছে, সংবিধান পরিষদীয় আইনের অধ্যাদেশের বিষয়টি নিয়ে চাপ বাড়ছিল কেপি শর্মা ওলির ওপর। গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীকে দিয়ে তা সই করিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তা ছাড়া বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল।
নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বিষ্ণু রিজাল এ ব্যাপারে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। সরকার ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির এক নেতা মাধব নেপালকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি অসাংবিধানিক। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।
নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি ২০১৭ সালের নির্বাচনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করে। সেই সরকার ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করলেন কেপি শর্মা ওলি।