মানববন্ধনে জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ ১৮০ কর্মীকে তাদের কাজ করা থেকে বিরত রাখে। সেই কাজ তৃতীয় পক্ষ ভেন্ডরদের অল্প শিক্ষিত ও অদক্ষ কর্মীদের হাতে ন্যাস্ত করে । এরপর থেকেই গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক মিয়া মাসুদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এই ১৮০ জন কর্মীকে কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে গ্রামীণফোন ম্যানেজমেন্ট এর সাথে দফায় দফায় আলোচনা করে আসছিলো। অথচ আলোচনা চলাকালীন সময়েই কর্মীছাটাই এর প্রধান বাধা মনে করে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ।
গত ২৭ অক্টোবর গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মাসুদকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে চাকুরীচ্যুত করে। গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ২৮ অক্টোবর থেকে দুইটা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। প্রথম দাবি হলো মিয়া মাসুদ কে চাকরিতে পুনর্বহাল করা। দ্বিতীয় দাবি হলো ১৮০ জন কর্মীকে কাজে ফিরিয়ে নেয়া। ধারাবাহিক দুর্বার আন্দোলন ও দেশব্যাপী জনমত গড়ে ওঠায় গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের প্রথম দাবি অনুযায়ী গ্রামীণফোন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মাসুদকে চাকুরীচ্যুত করার আদেশ প্রত্যাহার করে তাঁকে স্বপদে পূনর্বহাল করেছে। দ্বিতীয় দাবি এখনো আদায় হয়নি।
সুতরাং গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ১৮০ জন কর্মীকেও যতক্ষণ কাজে ফিরিয়ে না নিচ্ছে ততক্ষণ গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক।
এছাড়াও আজকের মানববন্ধন থেকে মিয়া মো. সফিকুর রহমান মাসুদ কে চাকরিতে পুনর্বহার করার ক্ষেত্রে চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সমস্ত নেতাকর্মী এবং দেশের সমস্ত ইউনিয়ন ও সাংবাদিক ভাই বোন, সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয় ।