সেজন্য বিধিমালা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্যও এ নির্দেনা রয়েছে। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যানও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সভায় সিদ্ধান্তের বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো জয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিপাহী, এসআই ও ইন্সপেক্টরদের মাদক নির্মূলে সহযোগিতার জন্য অস্ত্র দিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব কমিটি করে দেবেন। কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন জমা দেবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া কুরিয়ার সার্ভিসে মালামাল পরিবহনের সময় পরিবহনকারী ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ছবি সংরক্ষণ করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
বন্দরগুলোতে মাদক শনাক্তে ডগ স্কোয়াড মোতায়েনের জন্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডগ স্কোয়াডের প্রজেক্ট তৈরি করবেন। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিমানবন্দর বা ল্যান্ডপোর্টে ডগ স্কোয়াড দেয়া হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য এবং তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাদককারবারীদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্য এনটিএমসির কার্যালয়ে মাদকদ্রব্যের একজন কর্মকর্তা অবস্থান করবেন।
এ সভায় সরাসরি ও ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন- স্থানীয় সরকারমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, সমাজকল্যাণমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কমিটির সদস্য সচিব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফরের মহাপরিচালক ড. অরূপ রতন চৌধুরী প্রমুখ।