আজ সকাল থেকেই নেতাকর্মীর স্লোগানে মুখরিত হতে ওঠে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর। সকালে সংঠনের পক্ষ থেকে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট, ঢাকা মহানগর ইউনিটসহ বিভিন্ন থানা ইউনিটের নেতারা।
দেশভাগের পর ১৯৪৮ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন।প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এর নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’। পাকিস্তান আমলেই ‘মুসলিম’ শব্দটি ছেঁটে ফেলা হয়। স্বাধীনতার পর নাম হয় ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’।
গত সাত দশকে সংগঠনটি পেরিয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ আর নব্বইয়ের দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ঝঞ্ঝামুখর সময়।
৭৩ বছরে ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্র প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।
ছাত্রলীগের সাধারণ লেখক ভট্টাচার্য বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংগ্রাম, সাফল্য ও ঐতিহ্যের ৭৩ বছর পূর্ণ করেছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করে যাব।
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে দেয়ালিকা ও গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে।“মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে শিক্ষা-শান্তি প্রগতির মূল মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। ছাত্রলীগের অভিভাবক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সকল নির্দেশনা যাতে আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি, সেটি হবে আমাদের শপথ।”
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে দেয়ালিকা ও গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে।এছাড়া ৬ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে সকাল ১১টায় দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হবে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। ৮ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় হবে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি।এসব কর্মসূচি ছাত্রলীগের সব ইউনিটেই সুবিধাজনক সময়ে পালন করা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।